<span;>একাত্তর সময় রিপোর্ট।
হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমীর আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগে নতুন কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামে তৃতীয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিবলু কুমার দে’র আদালতে মামলাটি করেন আহমদ শফীর শ্যালক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, মামুনুল হক, মীর ইদ্রিস, হাবিব উল্লাহ, আহসান উল্লাহ, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, নুরুজ্জামান নোমানী, আব্দুল মতিন, মো. শহীদুল্লাহ, মো. রিজুয়ান আরমান, মো. নজরুল ইসলাম, হাসানুজ্জামান, মো. এনামুল হাসান ফারুকী, মীর সাজেদ, মাওলানা জাফর আহমেদ, মীর জিয়াউদ্দিন, আহমদ, জুবাইর মাহমুদ, এইচ এম জুনায়েদ, আনোয়ার শাহা, মো. আহমদ কামাল, মো. নাছির উদ্দিন, কামরুল ইসলাম কাছেমী, মো. হাসান, ওবায়দুল্লাহ ওবাইদ, জুবাইর, মুহাম্মদ, আমিনুল হক, রফিক সোহেল, মবিনুল হক, নাঈম, হাফেজ সায়েম উল্লাহ ও মাওলানা হাসান জামিলসহ ৩৬ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা সবাই হেফাজত ইসলামের নেতা-কর্মী।
চলতি বছরের ১৮ অক্টোবর ঢাকার হাসপাতালে মারা যান হেফাজতে ইসলামের আমীর আহমদ শাহ শফী। শফীর ছেলে আনাসকে চট্টগ্রামের দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষক পদ থেকে অব্যাহতিসহ ছয় দফা দাবিতে ১৬ সেপ্টেম্বর জোহরের নামাজের পর থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন ছাত্ররা। তারা মাদ্রাসার সব কটি ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। আনাসসহ কয়েকজন শিক্ষকের কক্ষে ভাঙচুর করা হয়। এ সময় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মঈনুদ্দীন রুহীকে মাদ্রাসার ভেতরে পেয়ে মারধর করেন ছাত্ররা।
তবে মৃত্যুর আগে চারদিন ধরে হাটহাজারী মাদ্রাসায় নানা ঘটনা তাঁর মৃত্যুর কারণ বলে মনে করছেন স্বজনরা। তাকে যথাসময়ে হাসপাতালে নিতে বাধা দেওয়া, অক্সিজেন সার্পোট খুলে নেয়া, মানসিক চাপ তৈরিসহ নানা অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।
আর এসব কর্মকান্ড পরিকল্পিতভাবেই করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তারা। হত্যার অভিযোগ ছাড়াও মাদ্রাসায় থাকা শফীর পরিবারের ৬৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। মামলায় বাদীসহ ৬ জনকে স্বাক্ষী করা হয়েছে।
সুত্রঃ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট।