“বিয়েতে গান বাজনা করলে জানাজা পড়বেন না”, এই বলে হুমকি দিচ্ছেন আপনারা, এটা কোন দ্বীন ভাই? এমন উগ্র দ্বীন তো আমার রহমতের নবী ﷺ দিয়ে যান নাই। যেই নবীﷺ নিকৃষ্ট আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সলুলের মত মুনাফিক সর্দারের জানাজা পড়েছেন, আপনারা সেই নবীর উম্মত তো নাকি? শুধু সেই মুনাফিকের জানাজাই পড়েন নাই বরং তাকে নিজের জামা মোবারক দিয়ে দিয়েছেন তার কাফন বানানোর জন্য। কবরে নেমে মুখে নিজের থুথু মুবারক দিয়ে দিয়েছেন, আল্লাহ পাক যদি তাকে কবুল করে নেন। হ্যাঁ, আল্লাহ পাক কবুল করেন নাই তার মুনাফিকি ও নবী বিদ্বেষের কারণে সেটা ভিন্ন ইস্যূ। কারণ আল্লাহ পাকের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য নবী প্রেম টপ প্রায়োরিটি। কিন্তু হুজুর রাসূলুল্লাহ ﷺ জাহান্নামীকে জান্নাতী বানাতে চেষ্টার কোন ত্রুটি করেন নাই। এটা হচ্ছে ইসলাম।
অশ্লীল গান বাজনা ফাসিকি কাজ। গোনাহের কাজ। কিন্তু ফাসিকের জানাজা পড়া যাবে না, পড়ব না এটা কোন মুজতাহিদ ইমাম বলেছেন?
হ্যাঁ, বিয়েতে নারী পুরুষ মিলে অশ্লীল হিন্দী- বাংলা গান বাজনার তালে তালে নাচানাচি নিন্দনীয় ও কবিরা গোনাহের কাজ। এগুলো অবশ্যই পরিত্যাজ্য। সেজন্য কুরআন সুন্নাহের আলোকে দাওয়াত দিন মানুষকে। বুঝান মানুষকে। কিন্তু তা কী সূদ ও ঘুষের চাইতেও বড় গোনাহ? কই আজ পর্যন্ত তো হুমকি দিলেন না “সূদখোর ও ঘুষখোরের জানাজা পড়ব না”। বরং তাদের বাড়িতে দাওয়াত হলে মুখিয়ে থাকেন হুজুররা দাওয়াতে কখন যাবেন। তাদেরকে মঞ্চের দুই পাশে বসিয়েই ওয়াজ করেন।
কই আজ পর্যন্ত তো বললেন না যে, সেই সকল দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের জানাজা পড়ব না যারা মানুষের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করে টাকার পাহাড় গড়েছে। বরং তাদের জানাজা পড়ানোর জন্য প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায় আপনাদের মাঝে৷ কী ভয়ানক আপনাদের মন মানসিকতা!
কই আজ পর্যন্ত তো শুনলাম না যে, “মাদ্রাসাতে সমকামীতার সাথে যারা জড়িত হবে তাদের জানাজা পড়ব না” বলে হুমকি দিতে।
এতটা ঘৃণা, অহংকার, আমিত্ব ও হিংসা- বিদ্বেষ নিয়ে আপনারা ইসলামের খেদমত করবেন? মানুষের ইসলাহ করবেন? আগে নিজেরা ইসলাম প্রচার করার জন্য আত্মশুদ্ধির চর্চা করে করে একটা কলবি পর্যায়ে যান৷ তারপর মানুষকে দ্বীনের দাওয়াত দিন।
আল্লাহ পাক আমাদের উপরে খাস রহমত করুন। আমিন।