Homeঅর্থনীতি২০২১ অর্থনীতি তার শক্তিমত্তা দেখাবে

২০২১ অর্থনীতি তার শক্তিমত্তা দেখাবে

-

অবশেষে বিষণ্ন বিশ সাল শেষ হলো। পুরো বছর ধরে কি তাণ্ডবই না চালাল এই অশনি বছরটি। শুরুতে স্বাস্থ্য খাত বেশ বেহাল অবস্থার মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আমরা অনেক আগে থেকেই ভালো করছিলাম। কিন্তু টারশিয়ারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আমাদের যথেষ্ট ঘাটতি ছিল। বিশেষ করে করোনা মোকাবিলার মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর দুর্বলতা তো ছিল। আর ছিল ভয়। সবাই ভয় পেয়েছিলাম। তাই প্রথম দিকে এই রোগের চিকিত্সা বিভ্রাট অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে করে করে আমাদের চিকিত্সকরা অনেকটাই শিখে নিয়েছেন। এখন তারা করোনা রোগীদের প্রায়ই বাঁচিয়ে তুলছেন। আর মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতাও বেড়েছে। তাই অনেকটাই সামলে নেয়া গেছে এই মহামারীর আক্রমণ। তবে এর ভয়ে মার্চের শেষ দিক থেকে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ‘সাধারণ ছুটির’ কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় বন্ধই হয়ে যায়। অনানুষ্ঠানিক খাতের সাথে যুক্ত মানুষগুলোর কর্মসংস্থান উবে যায়। তবে সরকার বিশেষ প্রণোদনা দিয়ে গার্মেন্টস কারখানা চালু রাখে। কৃষির দিকেও সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেয়। রফতানি সচল রাখার জন্য সব রকমের প্রণোদনা দেয়। এসএমই খাতেও প্রণোদনা দেয়। ফলে ২০২০ সালের অর্থনীতি ভালোভাবেই টিকে থাকে। বিশেষ করে প্রবাসী কর্মীদের পাঠানো অর্থের প্রবাহ আরো বাড়ে। এর ইতিবাচক প্রভাব গ্রামীণ অর্থনীতিতে পড়েছে। তা সত্ত্বেও অনেক মানুষের আয়-রোজগার কমেছে। অনেক শ্রমজীবী মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে চলে গেছে। দারিদ্র্যের হার অনেকটাই বেড়েছে।

তা সত্ত্বেও জিডিপির ৪.৩ শতাংশ পরিমাণ প্রণোদনা দিয়ে সরকার বাজারে অর্থের প্রবাহ অব্যাহত রেখেছে। রেমিট্যান্সের কারণেও বাজারে তারল্য বেড়েছে। অন্য অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ গতিময়ই রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক দশক ধরে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির যে কৌশল বাস্তবয়ন করে আসছিল তারই ধারাবাহিকতা বজায় থাকায় অর্থনীতি এমন সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। তাই বছর শেষে দেখতে পাই রেমিট্যান্স গত বছরের চেয়ে তিন বিলিয়ন ডলার বেড়ে একুশ বিলিয়নের ওপরে উঠে গেছে। রিজার্ভ বারো বিলিয়ন ডলার বেড়ে তেতাল্লিশ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। রফতানি এক শতাংশের মতো বেড়েছে বলে মন খারাপ করার কিছু নেই। প্রায় সব দেশেই রফতানির প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক। আমদানি কমেছে। জুলাই থেকে অক্টোবরে সময়ে আমদানি কমেছে তেরো শতাংশের মতো।

তাই চলতি হিসাবে ওই সময়ে উদ্বৃত্ত চার বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। বাজার থেকে ডলার কিনে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল রেখেছে। এই ধারা সামনের বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত অব্যাহত রাখতে হবে মনে হয়। মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীল রয়েছে। ছয় শতাংশের নিচেই রয়েছে। সামনের বছরও তা এমনটিই থাকবে। হিসাবের মারপ্যাঁচে খেলাপি ঋণ কমেছে খনিকটা। সেপ্টেম্বর নাগাদ এনপিএল ৮.৮ শতাংশে নেমে আসে। বছর শেষে হয়তো আরো কমেছে। তবে দিন শেষে এই হিসাবায়ন বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে ব্যাংকিং খাতের স্বাস্থ্যের জন্য।

এই প্রেক্ষাপটে সামনের বছরের অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিতে পারে রফতানির ইতিবাচক ধারাটি কি করে ধরে রাখা যায়। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় রফতানি ব্যাহত হতে পারে। কয়েকটি মাস এই শিল্পকে চালু রাখার জন্য বাড়তি প্রণোদনা দিতে হতে পারে। কৃষি আমাদের অর্থনীতির রক্ষাকবচ। বোরো উত্পাদনে বাড়তি সহায়তা দিয়ে তাকে চাঙ্গা রাখা চাই। রেমিট্যান্সের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রণোদনার ধারাও অব্যাহত রাখতে হবে। ছোট, ক্ষুদে ও কুটির শিল্পর জন্য প্রণোদনার আকার আরো বাডাতে হতে পারে। এখানেই সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হয়। তাই এদের জন্য তৈরি প্রণোদনা প্যাকেজগুলো বাড়তি সময় এপ্রিলের মাঝেই বাস্তবায়ন সম্পন্ন করা জরুরি। এমএফআইয়ের মাধ্যমে ক্ষুদে উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন করে দশ হাজার কোটি চাকার প্রণোদনা দেয়ার কথা হচ্ছে তা তাড়াতাডি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। মেগা প্রকল্পগুলোর কয়েকটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা উচিত। তাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে।

যেভাবে সরকার ২০২০ সালে অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব মোকাবিলা করেছে, তাতে ২০২১ সাল হবে বাংলাদেশের জন্য সমৃদ্ধির বছর। ২০২০ সালের করোনার আঘাতের পরও দেশের অর্থনীতির যেসব সূচক ভালো অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে, সেগুলো ২০২১ সালে আরো শক্তিশালী হবে। আর যেগুলো দুর্বল অবস্থায় আছে, সেসব সূচকও ঘুরে দাঁড়াবে। আপাতত মনে হচ্ছে করোনা একেবারে চলে যাবে না, টিকা আসতেও দেরি হতে পারে। দ্বিতীয় ধাপের করোনায় যদি লকডাউনে যেতে না হয়, তাহলে অর্থনীতির সব সূচকই গতিশীল হবে।

প্রবাসী আয়সহ অর্থনীতির বেশ কয়েকটি সূচক এরই মধ্যে শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে। এখন দেশে বিনিয়োগ শূন্য। তবে নতুন বছরে দেখা যাবে, সবাই বিনিয়োগে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। নতুন বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সমৃদ্ধির হাতছানি রয়েছে। শুধু সরকারের সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে একটু চেষ্টা করলেই আমরা কাজে লাগাতে পারব এমন সুযোগ। ২০২০ সালের প্রতিকূল পরিস্থিতির অভিজ্ঞতা ২০২১ সালে কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ হবে সারা বিশ্বের জন্য একটি দৃষ্টান্ত। মহামারীর ধাক্কা সামলে নিয়ে বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এখনো গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা রয়েছে। প্রবাসী আয় দ্রুত গতিতে বাড়ছে। রফতানি আয় বাড়ছে। মেগা প্রকল্পে গতি এসেছে। সংকটে থাকা শেয়ারবাজার এখন প্রাণ খুঁজে পেয়েছে। ব্যাপক বিনিয়োগের জন্য পর্যাপ্ত রয়েছে টাকা ব্যাংকের কাছে। বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও বলছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।

সরকারের প্রণোদনা ও হুণ্ডি বন্ধ হওয়াতে করোনা মহামারীতেও রেমিট্যান্স আসছে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাসের প্রথম ১০ দিনে ৮১ কোটি ৪০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। সব মিলিয়ে ১ জানুয়ারি থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে এসেছে ২০ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার, যা ২০১৯ সালের পুরো সময়ের চেয়ে প্রায় ১২ শতাংশ বেশি। এর আগে এক বছরে বাংলাদেশে এত রেমিট্যান্স আর কখনো আসেনি। ২০১৯ সালে ১৮ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-নভেম্বর পাঁচ মাসে মোট ১০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। এই হিসেবে ২০২০-২১ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে মোট ১১ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৪৩ শতাংশ। করোনা ভাইরাস মহামারীর মাঝেই অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে, যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ।
অন্যদিকে, এমন মহামারীর পরেও আশা জাগাচ্ছে রফতানি আয়। মহামারী করোনার কারণে যে ধাক্কা লেগেছে রফতানি খাতে, আগামী মার্চ-এপ্রিল থেকে সেই ধাক্কা কেটে যাবে। শুধু তাই নয়, তৈরি পোশাক রফতানিতে বড় উল্লম্ফন ঘটতে পারে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, অক্টোবরে ধাক্কার পর নভেম্বরে ফের প্রবৃদ্ধিতে ফিরেছে অর্থনীতির অন্যতম প্রধান সূচক রফতানি আয়। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, গত নভেম্বর মাসে ৩০৭ কোটি ৮৯ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। এই অঙ্ক ২০১৯ সালের নভেম্বরের চেয়ে দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি। গত বছরের নভেম্বরে আয় হয়েছিল ৩০৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। সব মিলিয়ে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) এক হাজার ৫৯২ কোটি ৩৫ লাখ ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরের এই পাঁচ মাসে পণ্য রফতানি থেকে এক হাজার ৫৭৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পের গতিও কমেনি, মেগা প্রকল্পের গতি আরও বেড়েছে। মহামারী করোনার কারণে লকডাউন আর বিদেশি শ্রমিক-প্রকৌশলীদের অনেকে দেশে ফিরে যাওয়ায় এ বছর সরকারের অগ্রাধিকারে থাকা পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও কর্ণফুলী টানেলের মতো বড় প্রকল্পের কাজ এগোতে পারেনি কাঙ্ক্ষিত দ্রুততায়। তবে বছরের শেষ দিকে এসে গতি পেয়েছে অধিকাংশ প্রকল্প। স্বপ্নের পদ্মা সেতু এই ডিসেম্বরেই পেয়েছে পূর্ণ অবয়ব। একইভাবে দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুেকন্দ্রের ৩১ শতাংশের বেশি ভৌত কাজ এ পর্যন্ত শেষ হয়েছে। এদিকে মহামারীর মাঝেই স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে দিনরাত কাজ চালিয়ে মেয়াদের তিন বছর আগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের প্রথম মেট্রোরেল চালু করার নতুন লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে এখন। এ ছাড়া অন্যসব মেগা প্রকল্পের কাজও চলছে দ্রুত গতিতে ।
বড় আশা জাগানিয়ার লক্ষ্য হচ্ছে— জিডিপি প্রবৃদ্ধি। দুর্দান্ত গতিতে বাংলাদেশের এগিয়ে চলা শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে ২০১৫ সালেই। জাতিসংঘের হিসাবে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের সিঁড়িতে পা দেবে ২০২৪ সালে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, ২০২০ সালে পঞ্জিকাবর্ষে মাথাপিছু মোট দেশজ উত্পাদনে (জিডিপি) ভারতকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আইএমএফ বলছে, ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি হবে ১ হাজার ৮৮৮ ডলার, একই সময়ে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি হবে ১ হাজার ৮৭৭ ডলার। আইএমএফের বরাত দিয়ে মাথাপিছু জিডিপির বিষয়ে অনেকেই বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসাও করছে।

এদিকে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনমিক অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর) এর সর্বশেষ রিপোর্টের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক বিকাশ অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সাল নাগাদ দেশটি হবে বিশ্বের ২৫তম বৃহত্ অর্থনীতির দেশ। ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবল ২০২১’ নামের ওই রিপোর্টটি গত শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) প্রকাশ করা হয়। এতে মূলত সামনের বছর ও আগামী ১৫ বছরে বিশ্বের কোন দেশের অর্থনীতি কী হারে বাড়বে, তার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। সিইবিআর প্রতিবছর এই রিপোর্ট প্রকাশ করে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৩৫ সাল নাগাদ ১৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান বহু ধাপ ওপরে উঠে পৌঁছে যাবে ২৫ নম্বরে। ২০২০ সালের সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৪১তম বৃহত্ অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশ যেহেতু করোনা ভাইরাসের মধ্যেও কিছুটা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পেরেছে, তাই সামনের বছরগুলোতে বাংলাদেশে ধারাবাহিক ও জোরালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আশা করছে সিইবিআর। সিইবিআরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২১ সাল হতে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ঘটবে গড়ে ছয় দশমিক আট শতাংশ হারে। তবে এর পরের ১০ বছরে এই হার কিছুটা কমে গড়ে ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশ হবে। সিইবিআর বলছে, ২০২০ হতে ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতির সূচকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে। ২০২৫ সালে বাংলাদেশের অবস্থান হবে ৩৪। এর পাঁচ বছর পর ২০৩০ সালে বাংলাদেশ হবে ২৮তম বৃহৎ অর্থনীতি। ২০৩৫ সালে ঢুকবে প্রথম ২৫টি দেশের তালিকায়।
করোনার কারণে যেসব কাজ ঝিমিয়ে পড়েছিল, সেগুলোও সচল হবে। অর্থনীতিও ঘুরে দাঁড়াবে। তবে কৃষিতে সহায়তা এবং রেমিট্যান্স ও রফতানি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারের যে ভূমিকা ছিল, তা অব্যাহত থাকলে কোনো সমস্যা হবে না। সমৃদ্ধির জন্য নতুন বছরে কৃষি সেক্টরে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার আরো সহজ করতে হবে। জিজিটাল রূপান্তরের গতি সচল রাখার কোনো বিকল্প নেই। আগামী দিনে জিজিটাল অর্থনীতিই প্রাধান্য পাবে। সবশেষে বলব করোনা পরবর্তী অর্থনীতি সবুজ করার কোনো বিকল্প নেই। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য এই পথেই হাঁটতে হবে।

লেখক: বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক।

LATEST POSTS

মা দিবসে জলকন্যার যৌথ চিত্র প্রদর্শনী ‘পাহাড় ও পাহাড়ের জীবন’

মা দিবস উপলক্ষে ছয় দিনব্যাপী ‘পাহাড় ও পাহাড়ের জীবন’ শীর্ষক যৌথ চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে জলকন্যা। জলকন্যা নারীদের একটি সংগঠন। এখানে নারীরা জলের সহযোগিতায় যেসব...

ই-ক্যাব নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করলো ‘টিম ইউনাইটেড’

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের নির্বাচনকে সামনে রেখে ১১ সদস্যের শক্তিশালী প্যানেল ঘোষণা করেছে ‘টিম ইউনাইটেড’। শুক্রবার (৯ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে...

ই-কমার্সে আস্থা ফেরাতে চান জান্নাতুল হক শাপলা

দেশের ই-কমার্স খাতের প্রতিটি উদ্যোক্তার জন্য সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছেন ই-ক্যাব ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের পরিচালক পদপ্রার্থী ও এজিউর কুইজিনের প্রধান নির্বাহী জান্নাতুল...

ক্রিকেক্সের নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তানজিয়া জামান মিথিলা

এশিয়াজুড়ে জনপ্রিয় অনলাইন স্পোর্টস ও গেমিং প্ল্যাটফর্ম ক্রিকেক্স তাদের নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২০ বিজয়ী ও দেশের জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী তানজিয়া জামান মিথিলাকে...

Most Popular